শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা

আকাশ ছোঁয়া তরমুজের দাম

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলা শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে মৌসুমী রসালো ফল তরমুজ কেজির দরে বিক্রি হচ্ছে, দামও আকাশ ছোঁয়া। রমজানকে পুঁজি করে তরমুজ ব্যবসায়ীগণ তাদের ইচ্ছে মতো দাম হাকিয়ে তরমুজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা ও জনসাধারণ।

 

নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের এ বছর তরমুজের স্বাদ নিতে খুবই হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানা যায়। রমজান মাস এলেই প্রতিটা রোজাদারের পরিবারে ইফতার থাকে তরমুজসহ হরেক রকমের মৌসুমী ফলের সমাহার। কিন্ত সেই তরমুজের দাম এবার আকাশ ছোঁয়া। তবে দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক রোজাদারসহ নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের কাছে তরমুজের স্বাদ থেকে যাচ্ছে অধরাই।

 

গত বছর লালমনিরহাট জেলার সর্বত্রই তরমুজের ছড়াছড়ি ও পিচ হিসেবে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার এর চিত্রটাই ভিন্ন! চলতি মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত তরমুজের দেখা গেলেও এ বছর তরমুজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তরমুজের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪৫টাকা থেকে ৫০টাকায়।

 

লালমনিরহাট জেলা শহরের বিডিআর গেট ও মোগলহাট গেট এবং মিশন মোড়সহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে। অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমতো বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। আবার অনেক ক্রেতা যেহেতু কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তাই কেটে ১কেজি তরমুজ চাচ্ছেন দোকানির কাছে। এ নিয়েও চলছে বাক-বিতন্ডতা।

 

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক অনেকেই বলেন, লকডাউন চলছে। ভয় নিয়ে সড়কে আসি, দিন শেষে যা আয় হচ্ছে কোনো রকমে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে আছি। এই রোজগারে এ বছর তরমুজ খাওয়া সম্ভব হবে না। বাজারে আসা রোজাদারসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের প্রশ্ন তরমুজ কেজিতে বিক্রি হওয়ার কারন কি? যে তরমুজ গত বছরও মানুষ পিচ হিসেবে কিনেছে, সেই তরমুজ এ বছর কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে যদি ১৫টাকা থেকে ২০টাকা হতো তাহলে সাধ্যের মধ্যে থাকতো; অথচ ৪৫টাকা থেকে ৫০টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

 

ভোক্তাদের প্রশ্ন এই টাকা কি প্রকৃতপক্ষে ওই চাষী যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তরমুজ উৎপাদন করেছে তার পকেটে যাচ্ছে নাকি অন্য কারও পকেটে? কৃষকের তরমুজের ক্ষেত থেকে শুরু করে বাজারে বিক্রেতা পর্যন্ত যারা ভোক্তার পকেট খালি করে চলেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

 

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বড় ব্যবসায়ীরা তরমুজ পাইকারী বাজার হতে শ’ হিসেবে কিনে তা কেজিতে বিক্রি করছেন। আমরাও কেজিতে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বাজার মনিটরিং করলে কেজি কাহিনী উন্মোচন হবে বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone